A informative writing: Look what a customer says about our protein powder!
0
89611275 10157963188626411 4534988940586778624 n

89611275 10157963188626411 4534988940586778624 nমাউন্টেনিয়ারিং এক্সপেডিশনের একটা ভাইটাল এলিমেন্ট হল খাওয়া-দাওয়া। এক্সপিডিশনে প্রতিদিন গড়ে আমাদের শরীর প্রায় মেটাবলিজম অনুযায়ী ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিলো ক্যালরী বার্ন করে। আর উইন্টার এক্সপিডিশনে এটার পরিমান আরও বেশী হয় কারণ এত ঠান্ডার মধ্যে আমাদের কলকব্জা তথা বডির কোর টেম্পেরেচার মেইনটেইন করতেই প্রচুর শক্তির দরকার হয়। খুব পরিশ্রম করারও দরকার নেই, হাই অল্টিটিউডে জাস্ট কয়েকদিন শুয়ে বসে ক্যাম্প করলেও দেখবেন হুহু করে আপনার ক্যালরি বার্ন হচ্ছে। যেই হারে ক্যালরি বার্ন হচ্ছে ঠিক সেই হারে যদি শরীরকে কমপেনসেট না করা হয় তাহলে কি হবে? আপনার ওজন কমতে থাকবে, এক পর্যায়ে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে মাসল বার্ন করা শুরু হবে।

আমাদের সেলফ সাফিশিয়েন্ট স্টাইলের এক্সপিডিশনে প্রোপার ব্যাল্যান্সড ফুড এনশিওর করা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই উইন্টার এক্সপিশনে আমাদের সবচাইতে বড় গ্যাম্বল ছিল এই ফুড নিয়ে। এইবার প্রথমবারের মত আমরা সেন্ট পারসেন্ট ডিহাইড্রেটেড ফুডের উপর ভরসা করেছিলাম। কনভেনশনাল ও কমার্সিয়াল এক্সপিডিশনগুলোর মত আমাদের সাথে যেহেতু কুক বা ফুল ফ্লেজড কিচেন টেন্ট থাকবে না যাবতীয় রান্নাবান্না যেহেতু নিজেদেরই করতে হবে তাই হ্যাসেল কমানোর জন্য আমরা প্রেশার কুকার থেকে শুরু করে আমাদের নরমাল খাবার মেনু হিসেবে ডাল ভাত তরকারি একেবারেই বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের প্ল্যান ছিল, এমন খাবার খাব যা চুটকি বাজাতেই রেডি হয়ে যাবে। কারণ কুকিং টাইমের সাথে আমাদের ফুয়েল কনজাম্পশন ডাইরেক্টলি প্রপরশনাল। এত এত হিসাব থেকে মনে হয় সমাজের সবাইকে ধরে অভিযানে নামায় দেয়া উচিৎ। তাহলে তারা মিনিমালিজমের বাস্তব অভিজ্ঞতা পাবে। সহজ আর সরল জীবনের জন্য যে খুব বেশী জিনিসের দরকার হয় না, আমরা যে সহজেই জটিলতা এড়াতে পারি অভিযানগুলো আমাদের সেটাই শিখায়।

এ সম্পর্কে প্রিন্স তাহমিদের মত হল এইসব আল্পাইনিজম, মিনিমালিজম, সেলফ সাফিশিয়েন্সি…আরও যত ভারিক্কি সব আইডিওলজি আছে এসবের একচুয়ালি কোন দরকার নাই। আপনি সহজ অভিযান করতে চান- জাস্ট একটা শেরপা, দুইটা পোর্টার, একটা কুক নিয়ে নে – তখন দেখবেন জীবন কত সহজ আর সুন্দর!

ভূমিকা শেষ, এখন আসল কথায় আসি। খাবার দাবার নিয়ে এত এত কথা লিখার কারণ হল বাংলাদেশি একটা প্রোডাক্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। আমরা কোয়েস্ট থেকে
Go Zayaan Winter Expedition 2020 যাচ্ছি শুনে neofarmers Bangladesh তাদের দুইটা প্রোডাক্ট আমাদের ব্যবহারের জন্য দিয়েছিল। তাদের একটি ছিল খলিশা ফুলের মধু। এখন মধু তো মধুই। এর ব্যাপারে আসলে বলার মত কিছু নেই। খলিশা ফুলের মধু নাকি শরীর সবচেয়ে বেশী গরম করে। যদিও আমি বিশেষ কোন পার্থক্য বুঝি নাই। রাতের বেলা খাবার দাবার শেষ করে এক চামচ মধু চেটে স্লিপিং ব্যাগে ঢুকে পড়ার মত আরামগুলো আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না।

তাদের আরেকটা প্রোডাক্ট ছিল প্রোটিন পাউডার। এটা দিয়েছিল হাই অল্টিটিউডে হাই ইন্টেন্সিটি ওয়ার্ক আউটের সময় এই প্রোডাক্টটা একচুয়ালি কতটা কার্যকরী সেটা টেস্ট করা। এন্ড মাস্ট সে, উই আর রিয়েলি ইমপ্রেসড উইথ দ্যাট। উপরেই বলেছি একটা ব্যালেন্সড ডায়েট খুবই চ্যালেঞ্জিং টাস্ক। বিশেষ করে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো খুবই কঠিন। টুনা ক্যান আর বিফ জার্কির মত মুখে লালা এনে দেয়া এক্সোটিক অপশন যদিও আমাদের ছিল কিন্তু ক্যানড ফুডের ওজনের কারণে সেটা ছিল নিতান্তই সামান্য। নিও ফার্মাসের প্রোটিন পাউডারটা আমাদের জন্য বেশ উপাদেয় একটা অল্টারনেটিভ ছিল। শুধু তাই না এক পর্যায়ে এটি আমাদের জন্য লাইফ সেভিং ফুড অপশন হয়ে গিয়েছিল।

অনেস্টলি স্পিকিং হুমদে বসে আমরা জন্য ফাইনাল প্যাকিং করছিলাম আর যখন প্রতি গ্রাম ওজন সবাই জাস্টিফাই করছিলাম এক পর্যায়ে দ্বিধা ছিল এটা উপরে নিয়ে যাব কিনা, এর আদৌ দরকার আছে কিনা। একদম শেষ মুহুর্তে কাঁচের বোতল থেকে জিপলকে ট্রান্সফার করে নিও ফার্মার্সের প্রোটিন পাউডার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

পাউডারটা এত সুস্বাদু হবে আমি এক্সপেক্ট করি নাই। আমি জানিনা এটা একচুয়ালি খাওয়ার কি নিয়ম। কিন্তু এখানে আমি দুটা রেসিপি দিচ্ছি। কেউ ট্রাই করে দেখতে পারেন, ভাল না লাগবেই।

চুলাতে পরিমানমত পানি গরম করবেন, তার মধ্যে দুই চামচ মধু বা সমপরিমান চিনি দিবেন। আমার মতে চিনি বেটার কাজ করে। একটু ক্যারামেলাইজড হকে খেতে ভাল লাগে। সিরা একটু ঘন হয়ে আসলে তাতে পরিমান মত প্রোটিন পাউডার দিয়ে দেবেন আর ঘন ঘন নাড়বেন। এক মিনিটের মত ফুটালেই ঝটপট আপনার সকালের নাস্তা রেডি। কুকিং টাইম সর্বোচ্চ তিনি মিনিট। ফুয়েল সেইভ ইনরমাস।

আরেকটা রেসিপি হল হাল্কা গরম দুধ, প্রোটিন পাউডার। দুইটাকে ভালমত ব্লেন্ড করে শেইক বানাবেন। এরপর এক চামচ মধু দিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলবেন।

যারা হাই ইনটেনসিটি ওয়ার্ক আউট করেন তাদের জন্য এটা খুবই ভাল একটা প্রোটিন সোর্স। এখন থেকে আমাদের এক্সপেডিশনগুলোতে নিশ্চিতভাবেই এটা ইউজ হবে। শুধু নিও ফার্মার্সের কাছে অনুরোধ থাকবে আমাদের জন্য প্যাকেজিংটা পরিবর্তন করে দেয়া যায় কিনা। কাঁচের বোতল নিয়ে তো আর এক্সপিডিশনে যাওয়া যায় না।

নিওফার্মার্সের প্রোডাক্টগুলো দেখতে ঢু মারতে পারেন www.neofarmers.com.bd তে।

Leave a Comment

Your email address will not be published.

X